ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) উদ্যোক্তাদের পণ্য নিয়ে রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় চলছে ‘হলিডে মার্কেট’। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ঐক্য ফাউন্ডেশনের যৌথ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের কটেজ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) উদ্যোক্তাদের পণ্য নিয়ে এ মার্কেট পরিচালিত হচ্ছে। মার্কেটটি বসেছে আগারগাঁওয়ের শেরে বাংলা নগরের পর্যটন ভবন থেকে নির্বাচন কমিশন ভবন পর্যন্ত বিস্তৃত সড়কে। এটি আইসিটি সড়ক নামে পরিচিত। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে এ মার্কেট চলে রাত ৮টা পর্যন্ত।
আজ শুক্রবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সড়কের দুই পাশে ৫০টি করে মোট ১০০টি স্টল বসানো হয়েছে। স্টলগুলোতে এসএমই উদ্যোক্তাদের চামড়াজাত, পাটজাত, লাইফস্টাইল, ফ্যাশন, হোম ডেকর, হস্তশিল্প, অরগানিক, কৃষি ও খাদ্যপণ্য রয়েছে। এ ছাড়া প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য রয়েছে নার্সারি।
বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি নিয়ে হলিডে মার্কেটে স্টল দিয়েছেন ফামিং লাইফ বিডি লিমিটেডের আলাল উদ্দিন। তার দোকানে চেরি টমেটো, বিট রুট, লেটুস পাতা, ব্রকলিসহ নানান ধরনের শীতকালীন সবজি রয়েছে। আলাল উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘তৃতীয় দিনেই মার্কেট জমে উঠেছে। আমরা এখন পর্যন্ত প্রায় ৫-৬ হাজার টাকার শাক-সবজি বিক্রি করছি। এটা সবার মধ্যে প্রচারিত হলে আরো বেশি জমে উঠবে।’
বিভিন্ন ধরনের চাল, ডাল, তেল, ঘি, মধু, মসলা, শুঁটকির মতো পণ্য নিয়ে স্টল দিয়েছেন উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকার উদ্যোক্তা জেসমিন আক্তার। তিনি বলেন, ‘দেশীয় বিভিন্ন কৃষি ও খাদ্যপণ্য নিয়ে আমি কাজ করি। মসলার উপাদান সংগ্রহ করে নিজেরাই মসলা তৈরি করি। নিজেদের ঘানিতে শর্ষে ভাঙিয়ে তেল তৈরি করি। আমাদের এখান থেকে ক্রেতারা নিরাপদ ও প্রাকৃতিক খাদ্যপণ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।’
বিকেল হতেই জমে ওঠে হলিউডে মার্কেট। রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকেই মানুষজন ঘুরতে ও কেনাকাটা করতে এসেছেন। কেউ এসেছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে কেউ আবার বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে এসেছেন। রাজধানীর রাজাবাজার থেকে পরিবার নিয়ে এসেছেন আসিফ ইসলাম সাগর। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। এখানে একদিকে ঘুরাও যাচ্ছে অন্যদিকে অনেক কিছু ক্রয় করা যাচ্ছে। একসাথে বিভিন্ন ধরনের পণ্য অন্য কোথাও পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না।’
এ উদ্যোগ চলমান থাকা দরকার বলে জানান মিরপুর থেকে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আসা সুইটি আক্তার। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, আমাদের এখানে তো কোনো উদ্যোগ বেশি দিন চলে না। এ উদ্যোগটা চলা জরুরি। এর পাশাপাশি ফুটপাতও বন্ধ করতে হবে। ফুটপাতের পণ্যগুলো যদি এইরকম জায়গায় ছুটির দিনে নিয়ে আসে তবে আমাদের চলাচল সহজ হয়ে যাবে।’